ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ হতে পারে
দেশে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাস বন্ধ হতে পারে। কেন্দ্রীয়ভাবে কিংবা নিজ নিজ বিভাগ আলাদাভাবে অনলাইন ক্লাস নেয়ার নির্দেশনা পেতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা পরীক্ষার ল্যাবটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, গত এক সপ্তাহে ল্যাবে ৩৬ শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সপ্তাহে ১৫-২০ শিক্ষকেরও করোনা শনাক্ত হয়েছে। ল্যাবে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এক হাজার টাকা আর শিক্ষার্থীরা ১০০ টাকা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে পারছেন। পরীক্ষার ফল দেয়া হচ্ছে ২৪ ঘণ্টায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে থাকা শিক্ষার্থীদের অনেকেই জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশিসহ করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। অধিকাংশ বিভাগের ক্লাস সংকট থাকায় এখনও গাদাগাদি করে ক্লাসে বসতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিভাগ-ইনস্টিটিউটগুলো চাইলে অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবে বলে মত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হল খোলা রেখে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে।
অনলাইন ক্লাস প্রসঙ্গে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সার্বক্ষণিকভাবে আমরা করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের কোনো বিভাগ চাইলে অনলাইনে ক্লাস নিতে পারে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিভাগগুলোকে দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির এ সময়ে এমনিই আমাদের বিভাগগুলোকে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে আর ৬০ শতাংশ সশরীরে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া আছে। তবে কেউ চাইলে পুরোপুরি অনলাইনে ক্লাস নিতে পারে। আমাদের একটি বিভাগ ইতোমধ্যে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয় তাহলে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ক্লাস নেব। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য মহোদয়সহ সবার সাথে আলোচনা করে আমাদের করণীয় কী তা ঠিক করা হবে।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত করোনা পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সকাল আটটা থেকে রাত ১০টার মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
Comments
Post a Comment