বিশ্বমানের চিকিৎসক তৈরি করবে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়: ভিসি মোর্শেদ
এমনটাই জানালেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী। ওই বছরের ২০ নভেম্বর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। দায়িত্ব নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলায় সচেষ্ট হন। এবং বিশ্বমানের চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করেছে ইতোমধ্যে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি মেডিকেল কলেজ, ১টি ডেন্টাল কলেজ ও ৯টি নার্সিং কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা।
এর আগে, বিএসসি ইন নার্সিং এবং পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে নগরীর উপকণ্ঠ দক্ষিণ সুরমায় প্রায় ৮৩ দশমিক ৩১ একর নতুন জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে শিগগিরই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে নব প্রতিষ্ঠিত দেশের চতুর্থ এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আগের প্রতিষ্ঠিত অন্য মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। এখনো স্থায়ী ঠিকানায় পা রাখতে না পারলেও, নগরীর চৌহাট্টায় অস্থায়ী কার্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাবতীয় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এত অল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার নজির তেমন একটা নেই বলে জানান তিনি। উপাচার্য আরও বলেন, আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সবার সহযোগিতা নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন নতুন উদ্ভাবনের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আমি আশাবাদী।
এদিকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি সম্মান জানিয়ে বর্তমানে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভা। বঙ্গমাতার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেয়ার কারণ হিসেবে উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক বার সিলেট ভ্রমণ করেছেন।
সিলেটে জেলও খেটেছেন তিনি। বর্ষীয়ান জননেতা মরহুম দেওয়ান ফরিদ গাজী এমপির বাসায় অনেক বার এসেছেন। সেই সময় সঙ্গে বঙ্গমাতাও এসেছিলেন। তখন তাদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি। বর্তমানে বঙ্গমাতার নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম রণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
Comments
Post a Comment