বছরের প্রথম থেকে শুরু হবে স্কুলের ক্লাস
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে খোলে স্কুল-কলেজ। তবে, জানুয়ারি থেকেই পুরোদমে শুরু হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম। সে লক্ষ্যে ক্লাস রুটিন নিয়ে কাজ চলছে।
এছাড়া রাজধানীর পাশাপাশি শিগগিরই জেলা এবং উপজেলা পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। সে লক্ষ্যে রাজধানীতে শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রমও।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বলছে, চলতি মাসেই জেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে। এরপর তা নিয়ে যাওয়া হবে উপজেলা পর্যায়েও।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাসে আনতে রুটিন হচ্ছে। জানুয়ারিতে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও ক্লাসে আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
পুরোদমে ক্লাস শুরু নিয়ে শিক্ষকরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে অতি দ্রুত চলতি বছরের একাডেমিক ক্যালেন্ডার নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষকরা।
এছাড়াও দ্রুত বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এসওএস হারমান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানই সিলেবাস শেষ করতে পারেনি। তাই দ্রুত বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা চার কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ কোটি ৯ লাখ এবং মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লাখ ১১ হাজার ৩৬ জন।
গবেষকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে জানুয়ারিতে পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুতে তেমন ঝুঁকি নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ তাদের।
বর্তমানে চলতি বছর ও আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হচ্ছে। আর তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণিতে দুই দিন এবং অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক দিন করে ক্লাস হচ্ছে।
Comments
Post a Comment